রোমাঞ্চক ম্যাচে আফগানিস্তানকে এক বল বাকি থাকতে এক উইকেটে হারাল পাকিস্তান । এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০ তে সিরিজ জয়লাভ করল পাকিস্তান। নাসিম শাহ ৪৯.৫ বলে চার মেরে পাকিস্তানকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে হামবানটোটাতে মুখোমুখি হয়। প্রথম ম্যাচে ১৪২ হারে আফগানিস্তান এবং দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৫৯ রানে অলআউট হয়। আফগানিস্তান টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরু থেকে বড় রানের লক্ষে নামে আফগানিস্তান। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তোলে ওপেনিং জুটি। দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে পাকিস্তানের কোনো বোলারই আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটিকে কোনো রকম চাপে ফেলতে পারনি। আফগানিস্তান প্রথম উইকেট হয় ২২৭ রানে। প্রথম উইকেটের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপটি করেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। রাহমাতুল্লাহ গুড়বাজ তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৫১ রানের স্কোর টি করেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে । ১৫১ রানের ইনিংস টি খেলেন ১৪টি চার ও ৩টি ছয় এর সাহায্যে ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে।। আফগানিস্তান ২২৭ রানের পার্টনারশিপ এর উপর ভর করে ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান করেন। গুড়বাজের অসাধারণ ১৫১ রানের ইনিংস এবং জরদান ৮০ রান ইনিংসের সাহায্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশাল ৩০০ রানের স্কোরটি করতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট আউট হয় ২২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটে ২৫৬ রানে আউট হয় তৃতীয় উইকেট ২৬০ রানে আউট হয় ২৭০ রানে চতুর্থ এবং পঞ্চম উইকেট ২৯৪ রানে আউট । রাহমাতুল্লাহ গুড়বাজ ও জরদান ছাড়া রাশিদ খান ২,শাহিদল্লাহ ১,অধিনায়ক শাহিদী ১৫,রহমান ৪,রান করেন ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রানের বিশাল স্কোরটি করেন আফগানিস্তান
পাকিস্তানের বোলার ; এস আফ্রিদি ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। নাসিম শাহ ৯ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন এবং মীর ১০ ওভারে ৬১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
৩০১ রানের জবাবে পাকিস্তান শুরুটা ভালোই করে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট টি আউট হয় ৫২ রানে। দ্বিতীয় উইকেট এর জন্য ১১৮ রানের পার্টনারশিপ করেন ইমাম উল হক এবং অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেটে আউট হয় ১৭০ রানে। বাবর আজাম আউট হয় ৫৩ রানে। বাবর আজম আউট হওয়ার পরেই পাকিস্তানের আর কোন ব্যাটসম্যান আফগানিস্তানের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। একের পর এক উইকেট আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যায়। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য ১১ রানের দরকার এবং আফগানিস্তানের সিরিজে টিকে থাকার জন্য ২ উইকেটের প্রয়োজন ছিল। ৪৯.৫ বলে নাসিম শাহ চার মেরে পাকিস্তানকে জয় লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
পাকিস্তানের হয়ে ফকর জামান ৩০,ইমাম উল হক ৯১,বাবর আজাম ৫৩,মোহাম্মদ রিজওয়ান ২,আঘা ১৪,মীর ০,আহমেদ ১৭,সাদাব খান ৪৮,নাসিম শাহ ১০, হ্যারিস রাউফ ৩ অপরাজিতা থাকেন।
আফগানিস্তানের হয়ে এফ ফারুকি তিন উইকেট নেন মহম্মদ নবি ২ উইকেট নেন মুজিবউর রহমান এক উইকেট নেন এ রহমান একটি উইকেট নেন।