দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানে হারল অস্ট্রেলিয়া । কুইন্টন ডি ককের শতরানের সাহায্যে দক্ষিণ আফ্রিকা করেন ৩১১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং এর সামনে অজিরা ১৭৭ রানে অল আউট হয়। বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে অস্ট্রেলিয়া নবম স্থানে রয়েছে।
লক্ষ্ণৌতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করেন । অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা ইনিংসের শুরু থেকেই কুইন্টন ডি কক ও অধিনায়ক টিম্বা বহুমাকে কোনরকম চাপে ফেলতে পারেনি । দশ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫৩। ১৮ ওভারে ১০০ রানের পার্টনারশিপ করেন কুইন্টন ডি কক ও অধিনায়ক টিম্বা বহুমা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম উইকেট নেন অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আফ্রিকার প্রথম উইকেট আউট হয় ১০৮ রানে । টিম্বা বহুমা করেন ৩৫ রান।দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় উইকেট আউট হয় ১৫৮ রানে আর ভেন্ডা ড্রুসেন ২৬ রান করেন। ১৯৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় উইকেট আউট হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে পরপর দুই ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করেন কুইন্টন ডি কক প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসাধারণ শতরান করেন, দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১০৬ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। বিশ্বকাপে উইকেট রক্ষক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবথেকে বেশি শত রান করেছেন এবি ডিভিলিয়ার্স চারটে এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কুইন্টন ডি কক । এছাড়া ২৯ রান করেন হেনরি ক্লাসেন, এ মারক্রম ৫৬, ডেভিড মিলার ১৭,এবং জনসন ২৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা সাত উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান করেন।
৩১২ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ায় কোন ব্যাটসম্যানই প্রোটিয়াস বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি । একমাত্র লাবুশানে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। খেলার শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়া উইকেট হারাতে শুরু করে , অস্ট্রেলিয়া৭০ রানে ৬ উইকেট হারায়। সেখান থেকে কখনোই আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪০.৫ ওভারে ১৭৭ রানে আল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া।