মরশুমের প্রথম ডার্বিতে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান কে ১-০ গোলে হারিয়ে চার বছর পর ডার্বি জয়ের স্বাদ পেল ইস্টবেঙ্গল। শেষ ৮টি ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে হারতে হয় ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমার এর অসাধারণ গোলের ডার্বি জয়ের খরা কাটালো ইস্টবেঙ্গল। খেলার প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। খেলার দ্বিতীয়াতে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ২৭ বছর বয়সী নন্দকুমারের একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত গোলে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের পর প্রথমবার মোহনবাগানকে হারাতে সক্ষম হল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ।

কলকাতার ডুরান্ড কাপের গ্ৰুপ পর্বের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান। ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপে গ্ৰুপের দুটি ম্যাচ জিতেছে সবুজ মেরুন । প্রথম ম্যাচে বংলাদেশ সেনাকে ৫-০ গোলে হারায়।দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাব কে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্ৰুপের শীর্ষে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ডর্বি খেলতে নামে জুয়ান ফেরান্দোর দল। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ সেনার সাথে ড্র করে ডার্বিতে খেলতে নামেন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দুই জন খেলোয়াড়া এর ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কুয়াদ্রাতকে পূর্ণ শক্তির দল ছাড়াই খেলতে নামেন হাই প্রেসার ম্যাচে। অন্য দিকে মোহনবাগান একাধিক সুপার স্টার ও পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে ডার্বিতে নামেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে।
খেলার শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন। খেলার ২মিনিটের মাথাই মোহনবাগানের কাছে গোল করার সুযোগ আসে সাদিকু ডি বক্সের বাইরে থেকে মারা শট গোলে রাখতে পারেনি। ম্যাচের ১১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল প্রথম ভালো সযোগ পেয়েছিল তাও গোল করতে ব্যার্থ হয় লাল হলুদ খেলোয়াডরা। ম্যাচ আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে গড়াতে থাকে। ৪২ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গল ফ্রি কিক পায় খাবরার শট টি আটকে দেয় মোহনবাগান ডিফেন্ডার। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে বুমোসের ফ্রি কিক অসাধারণ দক্ষতাই বাঁচাই ইস্টবেঙ্গল গোল রক্ষক। প্রথমার্ধ শেষ হয় ০-০ ভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৩ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় সৌভিক হলুদ কার্ড দেখেন মনবীরকে ফাউল করার জন্য। ৫৬ মিনিটে সবুজ মেরুন খেলোয়াড় আনোয়ার আলির শট বার পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। ৬০ মিনিটে বহু কাঙ্খিত গোলটি তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল । নন্দকুমার বাগান ডিফেন্ডার কে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটটি প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে দেন। ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। ম্যাচের বাকি সময় বহু চেষ্টা করেও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি মোহনবাগান। অবশেষে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের পর প্রথম ডার্বি জয়ের স্বাদ পেলে ইস্টবেঙ্গল দল ও সমর্থকরা।