ডুরান্ড কাপে গ্ৰুপ এ-র ম্যাচে কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম ইমামি ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব এফসির। আগের ম্যাচে মোহনবাগান হারিয়ে চার বছর পর ডার্বিতে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পাঞ্জাব এফসি কে ১-০ গোলে হারায় কুয়াদ্রাতের। এই দিনের ম্যাচটি জিততে না পারলে পরের রাউন্ডে যাওয়াটা কঠিন হত ইস্টবেঙ্গলের। অন্য দল গুলির ফলের উপর নির্ভর করতে হত । পাঞ্জাবকে হারিয়ে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ডুরান্ড কাপের অভিযান শুরু করেছিল কুয়াদ্রাতের দল। পরে দুটি ম্যাচ ডার্বিতে মোহনবাগান ১-০গোলে ও পাঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থানে শেষ করে ইস্টবেঙ্গল।

খেলার প্রথম দিকে পাঞ্জাব এফসি আক্রমণ করলেও গোল করতে পারেনি। ৬ মিনিটের মাথায় পাঞ্জাবের আক্রমণটি প্রতিহত করেন গোলরক্ষক গিল। ১০ মিনিটে পাঞ্জাবি এফসির খেলোয়াড় রিকি শট টি গোলরক্ষক গিল সেভ করেন। ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ২২ মিনিটে বোরহার কর্নার কিক থেকে হেডে ইস্টবেঙ্গলকে গোল করে এগিয়ে দেন সিভেরিও। ৪০ মিনিটে সেভিরিওর হেড টি পোস্ট লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধ শেষ হয় এক ১-০গোলে।
খেলার ৭৮ মিনিটে ক্লেটন গোল করার সুযোগ পেলেও গোলটি করতে ব্যর্থ হন। ৮৬ মিনিটে নন্দকুমারের তৈরি করা সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে ক্লেটন গোলে সুযোগ পেলে গোল করতে ব্যর্থ হন। ইস্টবেঙ্গল গোলের সুযোগ গুলি নষ্ট করায় শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হারায় পাঞ্জাবের এফসিকে। । হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিল পাঞ্জাব এফসি অন্যদিকে গ্রুপের শীর্ষে থেকে নক আউট পর্বে জায়গা করে নিল ইস্টবেঙ্গল।