অবশেষে ট্রফির খড়া কাটালো ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার গোলে ৩-২ গোলে ওড়িশা এফ সি কে হারাল লাল হলুদ বাহিনী। কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতে ১২ বছর পর ট্রফি ঘরে তুলল ইস্ট বেঙ্গল।
অবশেষে ১২ বছর পর ট্রফির খড়া কাটালো ইস্ট বেঙ্গল। কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ওড়িশা এফ সি কে ৩-২ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গল। কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাত ধরেই দীর্ঘদিন পর ট্রফি জয়ের স্বাদ পেলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা । ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ফাইনাল ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন নন্দকুমার দ্বিতীয় গোলটি সাউল ক্রেসপো এবং ম্যাচের জয় সূচক গোলটি করেন অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। ওডিশার হয়ে গোল করলেন দিয়েগো মরিশিও এবং জাহু।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুটি দলই আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করে। ম্যাচের প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের থেকে ওড়িশা এফসি আধিপত্য একটু বেশি ছিল মাঠে । প্রথমার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ওড়িশা
এফ সি এর খেলোয়াড় দিয়েগো মরিশিও খেলার ৩৯ মিনিটে ডান পায়ের শটে বলটি ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে দেন ওড়িশার খেলোয়াড় দিয়াগো মরিশিও। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে ম্যাচে সমতার ফেরে ইস্টবেঙ্গল। মহেশের পাস থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি নন্দকুমার। ৬০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড় বোরহাকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করায় রেফারি পেনাল্টি দেয় ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে । ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ২-১ করে ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড় সাউল ক্রেসপো। ম্যাচের একদম শেষ লগ্নে খেলার অতিরিক্ত সময়ে ওড়িশার খেলোয়ার মরিশিও কে ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ওড়িশা। (৯০+৮) মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নাটকীয়ভাবে ওড়িশা কে ম্যাচে সমতায় ফেরায় জাহু।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ২-২ গোলে অমীমাংসিত ভাবে শেষ হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় সৌভিক চক্রবর্তী লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান। বাকি সময়টা ওড়িশার ১১ জনের বিরুদ্ধে ১০জনে খেলতে হয় ইস্টবেঙ্গল কে। অতিরিক্ত সময়ে ১১১ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে জয়সুচক গোলটি করেন অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের ব্যবধানে ওড়িশা কে হারিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল। ১২ বছর পর ট্রফি জয়ের উৎসবে মেতেছেন ক্লাব কর্তা থেকে দর্শক সবাই।