বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন স্বপ্নভঙ্গ ইংল্যান্ডের ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন করমোনা।
ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় স্পেন ও ইংল্যান্ড । প্রথম সেমিফাইনালে স্পেন ও নেদারল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয় স্পেন। নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য ফিফা মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল স্পেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আয়োজকদের অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে পরাজিত করে ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নেয়। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন। স্পেনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কারমোনা। কারমোনার গোলে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করলো স্পেন প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে।
খেলার শুরুর পাঁচ মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় ইংল্যান্ড রুশোর পাস থেকে হেম্পের বাঁ পায়ের শট টি সেভ করেন স্পেনিশ গোলকিপার কোল ।
১০ মিনিটে ইংলিশ খেলোয়াড় এম ব্রাইট কে ফাউল করলে নিজেদের অর্ধে ফ্রি কিক পাই ইংল্যান্ড।
১২ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় ইংল্যান্ড।
১৫ মিনিটে স্পেনিশ খেলোয়াড় কারমোনা কে ফাউল করলে ফ্রি কিক পাই স্পেন।
১৬ মিনিটে ইংল্যান্ড খেলোয়াড় হেম্পের নেওয়া বাঁ পায়ের শাট টি বারে লেগে ফিরে আসে।
১৭ মিনিটে স্পেনের খেলোয়াড় রিডোন্ডোর নেওয়া ডান পায়ের শট টি সেভ করেন ইংল্যান্ড গোলকিপার
২০ মিনিটে হেম্পের শট টি সেভ করেন গোলকিপার কোল।
২৩ মিনিটে ইংল্যান্ড খেলোয়াড় হেম্পকে ফাউল করলে স্পেনের অর্ধে ফ্রি কিক পাই ইংল্যান্ড।
২৯ মিনিটে স্পেনের হয়ে প্রথম গোলটি করেন কারমোনা বক্সের বাঁ দিক থেকে নেওয়া কারমোনার শট টি গোলকিপারকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে দেন। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
৩৬ মিনিটে বোনমতি কে থেকে ফাউল করার জন্য ফ্রি কিক পাই স্পেন
৪৫+২ মিনিটে স্পেনের খেলোয়াড় সালমার ডান পায়ের পায়ের শট টি পোস্টের কোনায় লেগে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি পরিবর্তন করেন ইংল্যান্ড।
৫০ মিনিটে এম ক্যালডেন্টির ডান পায়ের শাট টি সেভ করে ইংল্যান্ড গোলকিপার।
৫৪ মিনিটে নিজেদের অর্ধে ফ্রি কি ক পায় স্পেন কোডইনকে ফাউল করার জন্য।
৫৫ মিনিটে ম্যাচে প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখেন ইংল্যান্ড খেলোয়াড় হেম্প।
৬০ মিনিটে স্পেন একটি পরিবর্তন করেন।
৬২ মিনিটে বোনমতির নেওয়া ডি বক্সের বাইরে থেকে শাট টি বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
৬৪ মিনিটে ইংল্যান্ড খেলোয়াড় কে ওয়ালশ ডি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করলে রেফারি ভার এর সাহায্যে পেনাল্টি দেয় স্পেনকে।
৬৯ মিনিটে জেনির নেওয়া পেনাল্টি শটটি সেভ করেন ইংল্যান্ড এর গোলকিপার
৭৩ মিনিটে স্পেন একটি পরিবর্তন করে।
৭৬ মিনিটে কর্নার অর্জন করে ইংল্যান্ড।
৭৮ মিনিটে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখে সালমা।
৮৫ মিনিটে জেমস কে ফাউল করার জন্য ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড ।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ড চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে স্পেনের কাছে ১-০ গোলে হারতে হল ইংল্যান্ডকে। ২০২৩ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ হল ইংল্যান্ড।