প্রথমবার ৪০০রানের গণ্ডি পেরিয়ে রেকর্ড করল জিম্বাবোয়ে, পাশাপাশি আমেরিকাকে ৩০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে নজির গড়লো
৩০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে নজির গড়লো জিম্বাবোয়ে। প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে ৪০৮ রানের রেকর্ড গড়ে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় আমেরিকা। এটি ওডিআই ক্রিকেটে জিম্বাবোয়ের সর্বোচ্চ স্কোর।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে ইউ এস এ-র মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবোয়ে। টসে জিতে জিম্বাবোয়ে কে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল আমেরিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আমেরিকার বোলারদের উপর আক্রমণাত্মক ভাবে ব্যাট করছিল জিম্বাবোয়ে। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০৮ রান তোলে। অধিনায়ক সন উইলিয়ামস ১০১ বলে ১৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ২১ টি চার ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। সন উইলিয়ামস মাত্র ৬৫ বলে শতরন করেন। অধিনায়ক সন উইলিয়ামসের ওডিআই ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। এছাড়া জে গাম্বি ১০৩ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে। অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ২৭ বলে ৪৮ রান করে, রায়ান বার্ল ১৬ বলে ৪৭ রান করেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে জিম্বাবোয়ে ৪০৮ রান করে ছয় উইকেটের বিনিময়ে। আমেরিকার হয়ে অভিষেক পারাদকার তিন উইকেট নেন এবং জে সিং ২ উইকেট নেন।
জবাবে ৪০৯ রানের বিশাল স্কোর তারা করতে নেমে শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে আমেরিকা। দশ ওভারে ৪৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে মুখে পড়ে যায় আমেরিকা। শেষ পর্যন্ত ২৫.১ বলে ১০৪ রানে অলআউট হয় তারা। আমেরিকার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অভিষেক পারাদকার ২৪,জে.সিং করেন ২১ রান, এবং গজানন্দ সিং ১৩ রান করেন। জিম্বাবোয়ের হয়ে রিচার্ড এনগারাভা ও সিকান্দার রাজা দুটি করে উইকেট নেন।
এই জয়ের ফলে জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জয়ের নজিরটি গড়ে ফেলে।
জিম্বাবোয়ের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করার রেকর্ড হয়েছে অলরাউন্ডার ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজার ৫৪ বলে
এই টুর্নামেন্টে আমেরিকা গ্রুপে চারটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হারলো অন্যদিকে জিম্বাবোয়ে চারটির মধ্যে চারটিতে জিতে নিল।
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অধিনায়ক সন উইলিয়ামস ১৭৪(১০১)।